রংপুর টাইমস :
রংপুরের পীরগঞ্জে রানা শাহ (৩৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের শাহাপাড়া হাজীপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রানা শাহ মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের হাতিমপুর গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ১০ বছর আগে পীরগঞ্জ থানাধীন বড়দরগাহ ইউনিয়নের শাহাপাড়া হাজীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে সালমা বেগমের (২৮) সঙ্গে রানা শাহের বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে সালমা বেগমের বড় ভাই (সম্পর্কে সম্বন্ধী) সুমন মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগমের সঙ্গে (৩০) রানার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ নিয়ে তিন বছর আগে রানা তার স্ত্রী সালমাকে তালাক দিয়ে সম্বন্ধীর স্ত্রী রুমানাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। এক বছর আগে রানা শ্বশুরবাড়ির পাশে রবি চন্দ্রের জমি কিনে টিনশেডের একটি বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছিলেন। প্রায় সময় রানা ও রুমানার মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া লাগতো। এরই জের ধরে রুমানা বাদী হয়ে ২৬ এপ্রিল মিঠাপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় রানা গ্রেফতার হয়ে দুমাস জেলে ছিলেন। জামিনে বেরিয়ে ফের ঘর সংসার শুরু করেন।
শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। রোববার সকাল ৭টার দিকে রানার শাশুড়ি (রুমানা বেগমের মা) রেজেকা বেগম ওই বাড়িতে গিয়ে রানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার পর থেকে রুমানা পলাতক।
রানার স্বজনদের অভিযোগ, রানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান হাবীব প্রিন্স বলেন, রুমানাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ থানায় আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে।